চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএ) সাবেক সার্ভেয়ার মো. সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহেদ কবির বলেন, আসামি সেলিম হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মামলার ধার্য দিনে আসামি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
দুদক জানায়, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক চেইনম্যান (শিকলবাহক) নজরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী তছলিম উদ্দিন নগরের চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সে তার (নজরুল) স্ত্রীর মালিকানাধীন দোকানে ধরা পড়েন দুদকের হাতে। ওই সময় নজরুলের কাছে পাওয়া যায় ঘুষের নগদ ৮ লাখ ৭ হাজার টাকা ও ঘুষ বাবদ বিভিন্ন জমির মালিকের কাছ থেকে নেওয়া ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার চেক। এ ঘটনায় দুদক মামলা করে। ধরা পড়ার পর নজরুল ও তছলিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
সাড়ে চার বছর তদন্ত শেষে দুদক গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে নজরুল ও তছলিম ছাড়াও এলএ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার মো. সেলিম, দালাল নাসির আহমেদ ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) নগরের মুরাদপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইব্রাহিম মিয়াকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে নজরুল ও তছলিম জামিনে, ইব্রাহিম পলাতক। মারা গেছেন নাসির আহমেদ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চেইনম্যান (শিকলবাহক) নজরুল ইসলাম ঘুষের লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিতেন চেকের মাধ্যমে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা অনেকটা তার হাতের মুঠোয় ছিল। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে আসা লোকজনকে ঘিরে চলত তার এই ঘুষ বাণিজ্য। ক্ষতিপূরণের টাকার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি ঘুষ নেওয়া হতো। সার্ভেয়ার সেলিম ছিলেন নজরুলের সহযোগী।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ