দুবাইয়ে দুটি টাগবোট রপ্তানি করছে ওয়েস্টার্ন মেরিন

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দেশের জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবার দুটি টাগবোট রপ্তানি করছে। আরব আমিরাতের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিংকে চলতি মাসেই ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন।

ওয়েস্টার্ন মেরিনের তথ্যমতে, হস্তান্তরের অপেক্ষায় থাকা টাগবোট দুটির মধ্যে খালিদ ৬৪ টন এবং ঘায়া ৮০ টন বোলার্ড পুল (একটি টাগাবোটের অন্য জাহাজকে টানার ক্ষমতা) ক্ষমতাসম্পন্ন।

এ উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, ওয়েস্টর্ন মেরিন গত বছর রায়ান নামের একটি জাহাজ রপ্তানি করেছে। এবার নতুন দুটি টাগবোট রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই দুটি জাহাজ বিশ্বে মেইড ইন বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে। বিশ্বে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট হলো শিপ বিল্ডিং। এই বাজারে আমাদের যদি ১% জাহাজ পাঠানো যায় তাহলে অন্তত ২০০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ আয় করতে পাবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা শহিদুল বাসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. আশফাক হোসেন, আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন, ইউএই টু দ্য অ্যাফেয়ার্সের প্রতিনিধি এবং মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বক্তব্য রাখেন মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ আল মারজুকি।

জাহাজ দুটি সম্পর্কে ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হোসেন জানান, ২০২৩ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের সঙ্গে আটটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করে। এর মধ্যে দুটি টাগবোট, দুটি লজিস্টিক ক্রাফট এবং চারটি ট্যাংকার রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ৬৫ টন বোলার পুল ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি টাগবোট— ‘খালিদ’ ও ‘ঘাযা’ বর্তমানে নির্মাণাধীন এবং চলতি জুলাই মাসেই ইউএইতে রপ্তানি করা হবে। বাকি ৬টি জাহাজ ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি রূপসা’ এবং ‘এমভি সুগন্ধা’ হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১১টি দেশে মোট ৩৪টি জাহাজ রপ্তানি করেছে বলেও জানান ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩১টি জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। একই সময়ে, দেশি ক্রেতাদের জন্য কনটেইনার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, টাগবোটসহ ৫০টি জলযান তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top