চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদকে। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে স্বশরীরে হাজির হননি। পরে এক চিঠির মাধ্যমে দুদককে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। তার বক্তব্য পর্যালোচনা করে তার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। দুপুরে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এ সময় জানান দুদক সচিব। তার স্ত্রী-কন্যারাও যদি যথাসময়ে উপস্থিত না হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জুন তলব করে দুদক। একই সঙ্গে বেনজীরের স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন তলব করা হয়। দুদকের তলবে হাজির হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ৫ জুন, আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চান।
এরপর ৬ জুন বিকেলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে দুদক তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় আগামী ২৩ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুদক।
এর আগে গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরি জীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ এপ্রিল পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে







