সেলিম উদ্দীন: কক্সবাজারের ভারুয়াখালী নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। দুই বছরের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় দুই বছর মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটির। তবে ২০২৫ সাল অর্থাৎ পাঁচ বছরে পা দিলেও প্রকল্পটির এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এদিকে দুই বছরের সেতু পাঁচ বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত দুই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ না করে টাকা তুলে নিয়েছে। তবে এলজিইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বছর জুনেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের ভারুয়াখালী নদীর ওপর ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। সেতুর কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ করা কথা। তবে পেরিয়ে গেছে চার বছর। এর মধ্যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। তার পরও শেষ হয়নি সেতুটির নির্মাণ কাজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন ও মের্সাস এমএ জাহের জেভি যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
অভিযোগ উঠেছে, এরই মধ্যে কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ। যাতায়াতের জন্য নৌকাই তাদের ভরসা। তবে বর্ষায় নৌকা না চলায় ৩৬ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার। আগামী জুনের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শিগগিরি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি