নিজস্ব প্রতিবেদক : সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো কর্তৃক সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই দেশের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতির দিকে থাকা সত্ত্বেও ডিলার ও বিক্রেতারা বলছেন, বিতরণকারী কোম্পানিগুলো তাদের কমিশন অর্ধেকেও বেশি কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ বাজারে তেল পাওয়া ও দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯-১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’। সরকার এখনও অবশ্য তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। এ নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার মধ্যেই অস্থির হতে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের বাজার।
নগরীর কয়েকটি খুচরা দোকানে দর যাচাই করে জানা গেছে, খোলা সয়াবিন ও সুপার পামঅয়েলের দাম লিটারে অন্তত ৫ টাকা বেড়েছে। এদিন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা ১৬০ টাকায়।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম খুচরা পর্যায়ে এখনও না বাড়লেও পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। এ অবস্থায় আগামী সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
নগরীর কালীবাড়ির মোড়ের রূপা স্টোরের মালিক বিধান দাশ বলেন, ‘অর্ডার অনুযায়ী তেল পাচ্ছি না। পাঁচ লিটারের দুই কার্টনের অর্ডার করেছিলাম। আজ চার বোতল পেয়েছি। এক লিটারের তেলের সরবরাহ দু-দিন ধরে একেবারেই বন্ধ। এখন আগের মজুতগুলো বিক্রি করছি। দাম এখনো আগের মতোই আছে। সামনের সপ্তাহে কী হবে এখনও জানি না।’
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দর প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটার ৯২২ টাকা, খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটার ১৫০ টাকা নির্ধারিত আছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ