আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আকস্মিক সামরিক আইন জারি করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় গভীর রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এই মার্শাল-ল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানসমূহের কার্যক্রম ও উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। যে কারণে দেশের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারি করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল সামরিক আইন জারির ঘোষণা করলেও এর আকার বা অধীনে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে স্পষ্ট করেননি।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ছায়ায় থাকা যেকোনো সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। কোনো ব্যক্তিও যদি এতে সম্পৃক্ত থাকে, তাকেও ছাড়া হবে না।
খবরে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্শাল-ল জারির ঘোষণার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ কারণে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বন্ধু’ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তারা দেশটির পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ