আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩,০০০-এর বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
শনিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, বাসিন্দারা ঘোলা ও কোমরপানিতে চলাচল করছেন। অনেক জায়গায় গাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। থাইল্যান্ডের দুর্যোগ সংস্থা তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের আটটি প্রদেশে বন্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজারেরও বেশি পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে স্কুল ও মন্দিরগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। উপকূলীয় সংখলা প্রদেশের বাসিন্দা নামপা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খাদ্যের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ঠিক আছি, কিন্তু এই অবস্থায় কতদিন থাকতে পারব তা জানি না।
পাটানি প্রদেশে দুটি হাসপাতাল তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। কারণ, বন্যার পানি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ‘অতিবৃষ্টি’ অব্যাহত থাকতে পারে।
থাই সরকার উদ্ধার কাজ জোরদার করতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে এবং প্রতি প্রদেশে বন্যা সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন বাথ (প্রায় ১.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিক আবহাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে বন্যায় ৫০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং কয়েক মিলিয়ন বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি