চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে বিক্ষোভকারী, ছাত্রলীগ–যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় শতাধিক আহত হয়েছে। এর মধ্যে আহত ১৩৮ জনকে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের চেয়ে বেশি গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার পর থেকে চমেক হাসপাতালে আহতদের আনা শুরু হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিন জন হাসাপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- মিনহাজ রনি (২৭), আদনান, শাহেদ।
এছাড়া বাকি আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আশরাফুল (৩০), মো. আলাউদ্দিন (২৬), ফয়সাল (২৫), জাহাঙ্গীর (২৬), চিশতী (২৮), সোহরাব হোসেন (২২), সৌরভ (২২), মনির (২২), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম (২২), মাঈনউদ্দিন (২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মো. মারুফ (২৭), মাহবুব হোসেন (২৪), এহসান উল্যাহ (২৮), মো. শাহীন (২৬), শাহীন (২৪), আদিল (২৫), শাকিব উদ্দিন (২৩), রিদোয়ান (২৪), সাকিব উদ্দিন (২৩), ফারুক (২০), জয়নাল আবেদীন, সাজিদুল হক এবং আইনজীবী এস এম আবু তাহের।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন। তবে সোয়া ১১টার দিকে সিটি কলেজের সামনের এলাকা থেকে সরকার সমর্থক একদল যুবক হঠাৎ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দফায় দফায় গুলি ছোড়া হয়। দুপর ১২টার দিকে পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে নগরের নিউ মার্কেট, আমতল, তিনপুলের মাথা, স্টেশন রোড়, কোতোয়ালীর মোড়, লালদীঘি ও টেরিবাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, নগরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৩৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রাখা হয় এবং বাকিদের ক্যাজুয়ালিটি ও নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ