চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ২০ বছর আগে তিন ভাইবোনের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি মারা গেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
তার নাম আবুল কাশেম প্রকাশ জামাই কাশেম (৭১)। তিনি নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তাকে গত ১৭ এপ্রিল হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম বলেন, হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। মঙ্গলবার (আজ) ভোরে কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে হত্যার শিকার সাইফুল, তার ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারার সঙ্গে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরোধ ছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন নগরের বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন আসামিরা। আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাকে প্রথমে গুলি করে ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আলমগীরকে গুলি করেন মুন্না। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এরপর ঘর থেকে সাইফুল বের হলে কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত তিন ভাইবোনের হত্যা মামলায় আবুল কাশেম প্রকাশ জামাই কাশেম ও ইউসুফ প্রকাশ বাইট্টা ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ