ক্রীড়া ডেস্ক: রংপুর রাইডার্সের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা। অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেননি ফরচুন বোলাররাও। সাইফ হাসানের অপরাজিত ফিফটিতে সহজ জয় পেয়েছে রংপুর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে টানা জয় তুলে নিলো রাইডার্সরা।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন তামিম ইকবাল। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
১২৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরের। অভিষিক্ত ওপেনার আজিজুল হাকিম তামিম গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন। তিনে নেমে ডাক খেয়েছেন তৌফিক খান তুষারও। তাতে ১৫ রানে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর।
তবে এরপর অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৩ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় রংপুর। সাইফ ৪৬ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেছেন। আর হেলসের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪৯ রান।
এর আগে গত ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ বরিশালের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
শান্ত দ্রুত ফেরার পর তিনে নেমে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা এই ব্যাটার আজও আউট হয়েছে বাজে এক শটে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৪ রান।
এক প্রান্তে উইকেট হারালেও আরেক প্রান্তে শুরু থেকে আগ্রাসী ছিলেন তামিম। তবে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। নাহিদ রানার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ বলে ২৮ রান করেছেন অধিনায়ক।
তামিম ফেরার পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। মিডল অর্ডারে কাইল মেয়ার্স, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সবাই যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকে মোহাম্মদ নবি এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করলেও রান আউটে কাটা পড়েন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ