ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সব সড়কে সিএনজি চলাচলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ও সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় তারা এই বিক্ষোভ করেন।

অবরোধের কারণেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শত শত যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ে। চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিএনজি মালিক-চালক সমিতির ব্যানারে চালকরা প্রথমে মৌচাক এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে নারায়ণগঞ্জে চলাচলরত সিএনজির চালকরা এ অবরোধে যোগ দেন। সিএনজি চালকরা মৌচাক থেকে মিছিল নিয়ে কাঁচপুর এলাকায় বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সব মহাসড়কে সিএনজি চলতে দিতে হবে। তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে কিছুসংখ্যক গাড়ি চলতে দিলেও অন্যসব সিএনজিকে মামলা দিচ্ছেন। রেকার বিলের নামেও মামলার ভয় দেখিয়ে শিমরাইল, মৌচাক, সানারপাড়, সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পরিদর্শকসহ পুলিশরা চালকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এগুলো থেকে রেহাই চাচ্ছি।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কে চলাচলের দাবিসহ অবৈধ দাবি নিয়ে মৌচাক ইউটার্ন ঘুরে কাঁচপুরের চাঁদমহল সিনেমা হলের সামনে গিয়ে মহাসড়ক ব্যারিকেড দেন। এখানে তারা ৩৫-৪০ মিনিট অবস্থান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা আসলে তারা চলে যান।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কে নেমেছিলেন। তাদের দাবি মহাসড়কে সিএনজি চালাতে দিতে হবে। আমরা বলেছি, তাদের এ দাবি যথাযথ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করব। চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেননি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top