চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারকে ৬০ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে জিইসি ক্যাম্পাসে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর ক্যাম্পাসের বাইরে সড়ক আটকে উপাচার্য ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনরত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘এর আগে আমরা স্যারকে ডাকযোগে পদত্যাগের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা গুরুত্ব দেয়নি। আজ বাধ্য হয়ে আমরা তিনটি ক্যাম্পাসে তালা দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করলাম। যতদিন ভিসি, প্রোভিসি ও ট্রেজারার পদত্যাগ করবে না আমরা ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের এই দাবি সমর্থন জানিয়েছে। সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও আমাদের সাথে আছে। আজ আমরা ১ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম তবে তারা সেটা করেননি। কাল থেকে আমরা সব ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ভিসিসহ পুরো প্রক্টোরিয়াল বডির সবাই আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করতেন, সরকারের ফরমায়েশি কাজ করতে তারা এসব চেয়ারে বসে ছিলেন। আগে নানা সময় আমাদের ক্যাম্পাস এক জায়গায় করার ব্যাপারে আমরা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের দাপট দেখিয়ে আমাদের কথা বাস্তবায়ন করেনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল কবির জানান, ‘সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে এবং আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ অন্যান্যদের জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনা ঘটলেও ব্যতিক্রম ছিল চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। সে সময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ভিসির পদত্যাগের দাবি করলে বড় একটি অংশ ড. অনুপম সেনের পক্ষে ছিল।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ