ডেঙ্গু ঠেকাতে ‘সর্বোচ্চ’ প্রস্তুতি নেবে স্বাস্থ্য বিভাগ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আন্দোলন-বিক্ষোভ, স্বৈরশাসনের পতন, নতুন সরকার গঠনসহ নানা বিষয়ে আলোচিত ছিল ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। একের পর এক নানা চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী হয়ে নতুন বাস্তবতা ও সমীকরণের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। গেল বছরে স্বাস্থ্য খাতে আলোচিত বিষয় ছিল ডেঙ্গুর সংক্রমণ। বিদায়ী বছরে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ৫৭৫ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন। তবে, স্বাস্থ্য খাতের ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ডেঙ্গুকে ঠেকাতে নতুন বছরে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

জানা গেছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সঙ্গে ২০০০ সাল থেকে লড়ছে বাংলাদেশ। তবে, ২৫ বছরে ডেঙ্গুকে জয় করার পরিবর্তে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। ২০১৯ ও ২০২৩ সাল ছিল এ লড়াইয়ের টার্নিং পয়েন্ট। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডে ২০২৩ সাল ছিল মশার বিরুদ্ধ পরাজয়ের বড় মাইলফলক। ২০২৪ সালে এসে সংক্রমণ ও মৃত্যু তুলনামূলক কমলেও তা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও ডেঙ্গু সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। শহুরে জ্বরের প্রকোপ ছড়িয়েছে গ্রামেও। ফলে সারা বছরই গণমাধ্যমে ছিল ডেঙ্গুর আধিপত্যের খবর। হাসপাতালে রোগীর চাপ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রোগীদের বিপত্তি, সরকার পতনের পর স্থানীয় প্রশাসনে স্থবিরতা ভুগিয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। তবে চলতি বছরে হাসপাতালে সিট সংকট, ডাব-স্যালাইনের সিন্ডিকেট, রোগীদের জিম্মি করে ওষুধের দাম বাড়ানোর মতো ঘটনা তেমন শোনা যায়নি।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সঙ্গে ২০০০ সাল থেকে লড়ছে বাংলাদেশ। তবে, ২৫ বছরে ডেঙ্গুকে জয় করার পরিবর্তে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। ২০১৯ ও ২০২৩ সাল ছিল এ লড়াইয়ের টার্নিং পয়েন্ট। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডে ২০২৩ সাল ছিল মশার বিরুদ্ধ পরাজয়ের বড় মাইলফলক। ২০২৪ সালে এসে সংক্রমণ ও মৃত্যু তুলনামূলক কমলেও তা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

সর্বোচ্চ আক্রান্ত অক্টোবরে, মৃত্যু বেশি নভেম্বরে

২০২৪ সাল ছিল ডেঙ্গুতে সীমাহীন ভোগান্তির বছর। বছরটিতে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা ঘটে অক্টোবর মাসে। ওই মাসে সারা দেশে মোট ৩০ হাজার ৮৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটে নভেম্বর মাসে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৭৩ জন।

মাসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এক হাজার ৫৫ জন, মারা যান ১৬ জন। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯, মার্চে ৩১১, এপ্রিলে ৫০৪, মে মাসে ৬৪৪, জুনে ৭৯৮, জুলাইয়ে দুই হাজার ৬৬৯, আগস্টে ছয় হাজার ৫২১, সেপ্টেম্বরে ১৮ হাজার ৯৭, অক্টোবরে ৩০ হাজার ৮৭৯, নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ এবং ডিসেম্বরে নয় হাজার ৭৪৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যদিকে, গেল বছরে প্রতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেখেছে দেশবাসী। জানুয়ারিতে ১৬, ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ, মার্চে ছয়, এপ্রিলে দুই, মে-তে ১২, জুনে আট, জুলাইয়ে ১৪, আগস্টে ৩০, সেপ্টেম্বরে ৮৭, অক্টোবরে ১৩৫, নভেম্বরে ১৭৩ এবং ডিসেম্বরে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল গেল বছরে। আর মৃত্যুর হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন, ২০২০ সালে এক হাজার ৪০৫ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন এবং ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ২০২৩ সালে মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পার হওয়া ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী।

ভর্তিতে এককভাবে সর্বোচ্চ ঢাকা উত্তর, রোগী বেশি ঢাকার বাইরে

২০২৩ সালের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর। এককভাবে সর্বোচ্চ ২১ হাজার ২৫৪ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঢাকার দুই সিটি মিলিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ৯৯৫ জন। তবে, ঢাকা মহানগরীর বাইরে রোগীর সংখ্যা ছিল তুলনামূলক বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) আট হাজার ৮০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) ১৫ হাজার ৪০৬ জন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৪৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) ১৮ হাজার ৭৪১ জন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে তিনজন, খুলনা বিভাগে নয় হাজার ৯৮৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিন হাজার ৩৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৮৮৮ জন, রংপুর বিভাগে এক হাজার ৫০৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩৩৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে, গত ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। তবে, সবাই ওই এলাকার নন। তাদের বড় একটি অংশ রাজধানীর বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে ওই এলাকায় এসেছিলেন। যদিও এর সঠিক তথ্য নেই। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ঢাকা দক্ষিণে মারা গেছেন ২৩৯ জন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তরে ১০৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৪ জন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি এলাকা ছাড়া) ৫৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, খুলনায় ৩৫ জন, ময়মনসিংহে ১৬ জন, রাজশাহীতে আটজন এবং রংপুরে তিনজন মারা যান।

মার্চ-এপ্রিল থেকে বাড়তে পারে ডেঙ্গু সংক্রমণ

বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে মশা ডিম দিয়েছে। ওই ডিম পূর্ণ বয়স্ক মশা হয়ে একজন ডেঙ্গু রোগীকে দংশন করে ভাইরাসটা পেটের মধ্যে নিয়ে সুস্থ লোককে কামড় দিচ্ছে। ভাইরাস বা মশার এ জীবনচক্র সম্পন্ন হতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। ফলে এই প্রকোপ স্বাভাবিক। এরপর পরিস্থিতি ঠিক হবে।

‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছি। তবে, নতুন বছরের (২০২৫ সাল) মার্চ-এপ্রিলে থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তা বাড়তে থাকবে। তা-ই সরকারের উচিত হবে বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ডেঙ্গু এখন বছরব্যাপী রোগ।’

গত বছর চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় এসব ভাইরাস প্রতিরোধে নতুন বছরে সরকারকে বছরব্যাপী নির্মূল কার্যক্রম চালানো উচিত— যুক্ত করেন ডা. মুশতাক।

আইইডিসিআরের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমাতে প্রধান কাজটি হলো দ্রুত শনাক্ত করা। কিন্তু ডেঙ্গু শনাক্তে ল্যাব সুবিধা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় যুক্ত নেই। এ কারণে শনাক্ত হয়েছে দেরিতে। ডেঙ্গুতে নারী-শিশুর মৃত্যু এমনিতেই বেশি। আর দেরিতে শনাক্ত হওয়ায় ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়েছে। ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পেতে নতুন বছরেও আমাদের এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

ডেঙ্গুর ডেথ রিভিউয়ে জোর দিতে হবে : ড. কবিরুল বাশার

বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ, গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, বছর শেষে আমরা ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর যে সংখ্যাটি দেখেছি, সেটিই সম্পূর্ণ নয়। কারণ, সংখ্যাটি শুধুমাত্র যে সব হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে রিপোর্ট করে তাদের সংখ্যা। এ রোগী ছাড়াও প্রচুর রোগী ছোট-বড় বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিক ও বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। আবার কিছু রোগী আছেন যারা জ্বর আসলে পরীক্ষা না করিয়ে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করেছেন অথবা কবিরাজের কাছে যাচ্ছেন। মূলত এ ধরনের রোগী প্রকৃত চিকিৎসা না পেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, যে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশে সংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার তত কম।

‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বয়সী রোগী অথবা বিভিন্ন রোগের জন্য ডেথ রিভিউ কমিটি আছে। আমাদের পাশের দেশ ভারত ও মালয়েশিয়াতেও ডেঙ্গু ডেথ রিভিউ কমিটি আছে। বাংলাদেশে ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব এবং ২০১৮-১৯ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তদন্ত পরিচালনার জন্য ডেথ রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু গত দুই বছরে দেশে ডেঙ্গুতে এত মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও আমরা এ ধরনের কমিটির কোনো কার্যক্রম দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে যেন ডেঙ্গুর ডেথ রিভিউ হয়, এমনকি প্রতিটি ডেথ রিভিউ রিপোর্ট যেন সব চিকিৎসক ও গবেষকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা হলে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর মৃত্যুহার কমানোর কার্যকর উপায় বের করা সম্ভব।

‘সর্বোপরি ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের বছরব্যাপী বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি। এ মডেল অনুযায়ী পাঁচ বছর কার্যক্রম চালাতে পারলে ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হবে, এটি আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। এক বছরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাধারণত যে টাকা ব্যয় হয়, আমাদের মডেলটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে তার চেয়েও অনেক কম। সরকার চাইলে আমরা সেই মডেল অনুযায়ী কাজ করব’— মনে করেন এ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক।

বছরব্যাপী কাজের পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘আমি মাত্র কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। যে কারণে ডেঙ্গু নিয়ে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ আমার হয়নি। গেল বছরটিতে ডেঙ্গুতে অসংখ্য মানুষ আমরা হারিয়েছি। তবে আমাদের কাছে আসা প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ার কারণে মৃত্যুটা বেশি হয়েছে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে গেলে এবং চিকিৎসা নিলে এ হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব ছিল। আমরা দেখেছি, সাধারণত শীতের সময়টাতে ডেঙ্গু থাকে না। কিন্তু এবার শীতেও ডেঙ্গু কমছে না। এর পেছনে অবশ্যই সচেতনতার অভাব রয়েছে।’

নতুন বছরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি ঠিক মতো কাজ করতে পারলে বছর শেষে ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকারকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া আমরা ডেঙ্গুর মৃত্যু নিয়ে ডেথ রিভিউ কমিটি করেছি। তারাও কাজ করছে।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top