নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে চলমান অস্থিরতা অনেকটা কেটেছে। তবে এবার সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। যদিও অন্যান্য বছরগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পজিটিভ নয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করে ছোট পরিসরে বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে। ’
দীর্ঘ ৫০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে আসছে চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিলে অনুষ্ঠিত বাংলা বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। সামরিক সরকারের কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করেও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন নগরবাসী। এবার ৪৮ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
ডিসি হিল সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অলক ঘোষ বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। এখন যেহেতু সীমিত আকারে আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে, আমরা সেভাবেই করব। ভোর ৬টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিকেল ৪টার আগেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।’
সদস্যসচিব মো. আলী বলেন, এরশাদ সরকারের আমলেও আমরা রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠান করেছি। এ অনুষ্ঠান আমাদের ঐতিহ্য। যা আমাদের সকলকে ধরে রাখতে হবে।
এদিকে, সিআরবির শিরীষতলায় দুই দিনব্যাপী নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে সিআরবি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ। উৎসব কমিটির আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমি বলেন, ‘প্রতিবার যেভাবে হয়, এবারও সেভাবেই আয়োজন হবে। তবে সাহাবউদ্দিনের বলি খেলা হচ্ছে না। সেটা গতবারও হয়নি। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ৬০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেবে। সকাল ৭টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। দ্বিতীয় দিনও একইভাবে অনুষ্ঠান হবে।’
ডিসি হিলে বর্ষবরণ আয়োজনের মধ্যে থাকবে দেশাত্মবোধক গান, নাচ, আবৃত্তি ইত্যাদি। এ ছাড়া সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে ৫১টি সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। প্রতি সংগঠনের জন্য ৮ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক পক্ষ।
এছাড়াও প্রতিবারের মত নববর্ষ বরণ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চারুকলা শিক্ষার্থীদের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এসএ