সিপ্লাস ডেস্ক: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছিল। দাম বেঁধে দেওয়ার এক মাসেও এসব পণ্যের দাম কমেনি বরং বেড়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে বাজারে ডিম ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ থেকে ৫৩ টাকার মধ্যে ছিল, যা এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে নতুন করে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। শেষ এক সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারে কিনলে ডিমের ডজন পড়ছে ১৬০ টাকা, যা পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের একটি ডিম খেতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। অথচ সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নির্ধারণ হয় আরেক পণ্য পেঁয়াজে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি যার দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। ফলে বাজারের তালিকায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাদের। অধিকাংশ মানুষ অস্বাভাবিক বাজারদরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রামপুরা বাজারে আসা মাসুদ রানা নামে একজন ক্রেতা বলেন, সরকার যেসব পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সেগুলোর দাম উল্টো বাড়ছে। তাহলে দাম বেঁধে দেওয়া তামাশা ছাড়া কিছু নয়। কেউ যেন কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে প্রতি কেজি পেঁয়াজের ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, ডিমের ডজন ১৪৪ এবং আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা।
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতিও দিয়েছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে, বাজারে দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার তিন সপ্তাহ পার হলেও এখনও আমদানি করা কোনো ডিম বাজারে আসেনি। এরমধ্যে বৃষ্টির কারণে সরবরাহ বিঘ্ন হয়ে দাম বেড়েছে বলে দাবি খুচরা বিক্রেতাদের।