সিপ্লাস ডেস্ক: আমদানি করা ডিম দেশে আসার পর দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ১০০ পিস ডিমের দাম কমেছে ৯০ টাকার মতো। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। বাজারে এখন খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। একই সঙ্গে আমদানির কারণে আলুর দরও কমেছে।
দেশে দফায় দফায় বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছায় ডিমের ডজন। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই দফায় যথাক্রমে ৬ কোটি ও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর প্রথম চালানে ভারত থেকে প্রায় ৬২ হাজার ডিম এসেছে দেশে।
প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা। এর ওপর শুল্ক এক টাকা ৮০ পয়সা। ঋণপত্র বা এলসি, পরিবহন ও রপ্তানি খরচ, পোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ চার্জ ধরলে ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকার মতো আমদানি খরচ হতে পারে। খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা।
ভারত থেকে ডিম আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমেছে। তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি ১০০ পিস ডিম বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৭০ টাকা। এতদিন বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ১৪০ থেকে ১ হাজার ১১৬০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ১০০ পিস ডিমে দাম কমেছে ৯০ টাকা।
দাম কমার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, বৃষ্টি-বাদলের সময়ে মানুষ বাজারে না গিয়ে আশপাশের দোকান থেকে ডিম কিনে নেয়। এতে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দামও বাড়তে থাকে। কিন্তু এখন শীত শুরু হয়েছে। বাজারে শীতের সবজি আসা শুরু করেছে। অনেকেই নতুন সবজি কিনছেন। ফলে ডিমের চাহিদা কমেছে। এ কারণে দামও কমছে। তবে দাম কমার ক্ষেত্রে আমদানিরও কিছুটা প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এবারও বাজারে দফায় দফায় বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় ওঠে আলুর কেজি। সরকারের বাজারে নজরদারি জোরদার করার পরও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডিমের পর সরকার আলু আমদানিরও অনুমতি দেয়। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টনের বেশি আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টন। বাজারে ভারতীয় আলু ও দেশিয় নতুন আলু- এ দুই ধরনের আলু আসার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার আশপাশে।