সিপ্লাস ডেস্ক: বিশ্বকাপে কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪ রানে ২ উইকেট এবং ৬৩ রানেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ডাচদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। তবে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অধিনায়ক এডওয়ার্সের অর্ধশতকে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানে থেমেছে ডাচদের ইনিংস। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয়েছে তারা। দলের পক্ষে মোস্তাফিজ-তাসকিন-শরীফুল-মেহেদী দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন এডওয়ার্স।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই দলের হয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফেরা টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের চতুর্থ বলেই ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎকে ফেরান তাসকিন। সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বিক্রমজিৎ করেছেন ৯ বলে ৩ রান।
তাকসিনের আঘাতের পরের ওভারের প্রথম বলেই ম্যাক্স ও’ডাউডকে ফেরান শরীফুল। তিন বলের মোকাবিলায় রানের খাতা খোলার আগেই তানজিদ তামিমের ক্যাচে পরিণত হন ও’ডাউড। ৪ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ডাচদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরেন এই ম্যাচের একাদশে জায়গা পাওয়া বারেসি। তাকে সঙ্গ দেন কোলিন অ্যাকারম্যান। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকে না হারিয়ে ৪৭ রান তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। বারেসি-অ্যাকারম্যান জুটি ৬৮ বলে ৫৯ রান করে ভয় জাগাচ্ছিলো টাইগার শিবিরে।
তবে অর্ধশতকের দিকে আগানো বারেসিকে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফেরান মোস্তাফিজ। সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বারেসি ৪১ বলে ৮টি চার মারে এই রান করেন। পরে ওভারে দ্রুতই ডাচ শিবিরে আঘাত হানেন অধিনায়ক সাকিব। তার বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রানের জন্য ভুগতে থাকা অ্যাকারম্যান। তিনি ৩৩ বলের মোকাবিলায় ১৫ রান করেছেন। ৬৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ডাচদের আবার চেপে ধরেন সাকিব-মোস্তাফিজরা।
নতুন ব্যাটার বাস ডি লিডকে নিয়ে সেই চাপ কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্স। এই জুটিতে ভর করে ২৫ দশমিক ২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে ডাচরা। তবে এর পরই ডাচ শিবিরে আবার আঘাত আনেন তাসকিন। তিনি তুলে নেন ১৭ রান করা ডি লিডকে। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরা লিডকে প্রথমে আউট দেননি অ্যাম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। ৪৪ রানের এই জুটি ভাঙ্গায় ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস।
এবার সাইব্র্যান্ড এনজেলব্রাখকে নিয়ে আবার জুটি গড়েন অধিনায়ক এডওয়ার্স। তিনি একপ্রান্তে দলের হাল ধরে ৭৮ বলে ৩ চারে তুলে নেন অর্ধশতক। এটি চলতি আসরে তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। পাশাপাশি ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি অর্ধশতকের রেকর্ডও গড়েন তিনি। নিজের মাইলফক ছোঁয়ার পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ৬৮ রান করে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি সাইব্র্যান্ডের সাথে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ডাচ অধিনায়কের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চারে। পরের ওভারে সেট ব্যাটার সাইব্র্যান্ডকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শেখ মেহেদী। ফেরার আগে তিনি ৬১ বলে ৩৫ রান করেন।
এরপর শারিজ আহমাদ রান আউট হয়ে ফিরলে ১৯৪ রানেই ৮ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। দলীয় ২১২ রানে শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হন আরয়ান। তবে ইনিংসের শেষ বলে মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউয়ে কাটা পড়েন ম্যাকেরেন। অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডস। ভ্যান বিক ১৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।