চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে এঘটনায় হতাহতের কোনো খরব পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ইতিবাচক ও যুগোপযোগী সমাধানের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময়ই এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এর বক্তব্য চলাকালীন সময়ে নিজেদের মধ্যেই হঠাৎ মারামারি-হাতাহাতি করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ভালো অবস্থানে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় একদল অন্যদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট পর্যন্ত ধাওয়া করে নিয়ে যায়। পরে ঢাবি সাধারণ সম্পাদক সৈকত নিজে স্টেজ থেকে নেমে নেতাকর্মীদের আলাদা করতে দেখা যায়। নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইনান শয়নের হাত থেকে মাইক নিয়ে স্লোগান ধরেন এবং সকলকে শান্ত হতে নির্দেশনা দেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন তাৎক্ষনিক বক্তব্যে বলেন, স্লোগান থামান। স্লোগানের চেয়ে ডিসিপ্লিন জরুরি। আর সেই ডিসিপ্লিনের কি অবস্থা সেটা দেখতেই পাচ্ছি। সময় মতো ব্যবস্থা নেব। সংগঠনের ডিসসিপ্লিন না মানলে আমরা সময়মতো ব্যবস্থা নেবো। সংগঠন কারো মামার বাড়ির আবদার নয়। আমরা খোঁজ রাখছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না সে যেই হোক না কেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে টিএসসি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে দুপুর আড়াইটার দিকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয়।
এর আগে বিকেল ৪টা থেকে মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা অবস্থান নেন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে