সিপ্লাস ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সংযোগস্থলে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। বেলা ১১টা থেকে ঢাকামুখী লেনের প্রবেশমুখ টঙ্গী ব্রিজ-আব্দুল্লাহপুর সংযোগস্থলে চেক পোস্টের মাধ্যমে মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িতে তল্লাশি করা হয়।
প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, বিআরটিসি বাসসহ লোকাল বাসেও তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন চেক করা হয়।
টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর খন্দকার ফিলিং স্টেশনের সামনে তল্লাশিকালে এক অজ্ঞাত লোক (২৭) দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাকে ধাওয়া দিলে তিনি তুরাগ নদে ঝাঁপ দেন। তবে এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত তল্লাশিকালে কোনো আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, টঙ্গীবাজার মিতালী পেট্রল পাম্প এলাকায় গাজীপুর মহানগর যুবলীগ ও উত্তরার আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল কারনেশন সেন্টারের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। এরই জেরে নাশকতা রোধে টঙ্গী পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ টঙ্গীর কলেজগেট, মুন্নুগেট, কামারপাড়া রোড, স্টেশনরোড, টঙ্গী রেলব্রিজ, টঙ্গীবাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে টঙ্গী ও উত্তরা থানা পুলিশ মহাসড়কের টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সংযোগস্থলে চেকপোস্ট বসিয়ে সব ধরণের যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালায়। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সন্দেহজনক অনেক যাত্রীকে বাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামিয়ে তল্লাশি করা হয়। দিনভর যানবাহনে তল্লাশির কারণে দূর দূরান্তের অনেক যাত্রী সাধারণ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
এছাড়াও টঙ্গীবাজার তুরাগ নদের গোদারা ঘাটের নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এতে শতশত নৌকার মাঝি আব্দুল্লাহপুর আইচি হাসপাতালের সামনে নৌকা ভিড়িয়ে রেখে অলস সময় পাড় করতে দেখা গেছে। কোনো নৌকার যাত্রীকেই পুলিশ পারাপার হতে দিচ্ছে না বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন।
উত্তরা সোয়ারিটেক এলাকা থেকে সাইফ আলী এসেছেন টঙ্গীবাজারে তার ডেঙ্গু আক্রান্ত ভাতিজা স্বপনের জন্য ডাবের পানি কিনতে। কিন্তু গোদারা ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বললেন, সরকার সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ভাতিজার জন্য ডাবের পানি কিভাবে নেব চিন্তায় আছি।
গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে হাসিনা বেগম (৬০) তার নাতনি তাহমিনাকে নিয়ে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। আব্দুল্লাহপুর এলাকায় তল্লাশির কারণে বলাকা বাসের হেলপার ও চালক তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে হেঁটে কুর্মিটোলায় রওনা দেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং কোনো প্রকার নাশকতা রোধে মহাসড়কে বিপুল পরিমাণ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছেন। টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সংযোগস্থলে সন্দেহজনক গাড়ি তল্লাশি করা হয়।