চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ঘনিষ্ঠ আরও ৭ জনের নাম উল্লেখ করে প্রাণ নাশের ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক জায়গা জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগেী মো. হারুনুর রশিদ। তিনি রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন- হাসান মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল কবির রাশেদ, কেয়ারটেকার শৈবাল, রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিসের মুন্সি বাবুল, ছাত্রলীগ নেতা মফিজ, হাসান মাহমুদের সাবেক গানম্যান রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই সুমন কুমার দে, মো. ছৈয়দ ও জাহেদ।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন তালুকদার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলা হিসেবে নিতে রাঙ্গুনিয়া থানা-পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী প্রায় ২৫ বছর যাবৎ প্রবাসে কাটিয়েছেন, তার সারা জীবনের কষ্টার্জিত সঞ্চয় দিয়ে ৮.৩০ একর সম্পত্তি বৈধ রেজিষ্ট্রিযুক্ত কবলা দলিলমূলে ক্রয় করে নিজ নামে নামজারী খতিয়ান তৈরি করে সরকারি কর খাজনাদি আদায় করে ভোগ দখল করছেন।কিন্তু হাছান মাহমুদের দোসর অন্যান্য আসামীগণের যোগসাজস ও সহযোগীতায় বাদীর কষ্টার্জিত সঞ্চয় দিয়ে কেনা তপশীলোক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য প্রস্তাব করিলে বাদী সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি অত্যন্ত কষ্ট করে তার জীবনের সকল সঞ্চয় একত্রিত করে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। তিনি এই সম্পত্তি বিক্রয় করবেন না। এতে হাছান মাহমুদ ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদান শুরু করে। তিনি বিদায়ী সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার সকল প্রকারের ক্ষমতা ও কলা কৌশল প্রয়োগ শুরু করেন।
গত ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাদী তার নিজের রড সিমেন্টের দোকানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা মামলার আসামীরাসহ ৭/৮জন সাদা পোষাকধারী পুলিশ সদস্য বাদীর ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে বাদীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাদীকে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে সরাসরি রাঙ্গুনিয়া সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। তখন সেখানে ১নং আসামীসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২৫/৩০জন ক্যাডার উপস্থিত ছিল। বাদীকে রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে নিয়ে একটি চেয়ারে বসানো হয়। তারপর কয়েকজন ব্যক্তি ও ১নং আসামী হাছান মাহমুদের কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ নামে একটি “অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (পণমূল্য ব্যতীত) দলিল বাদীর সামনে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে