বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন চৌকি আদালত সমূহে আইন কর্মকর্তা হিসেবে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা কর্তৃক ২৮ নং ক্রমিকে চট্টগ্রাম বাঁশখালী পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী পরিবার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফের সন্তান আলমগীর কবিরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আলমগীর কবির একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলা ও দাযরা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার উপর অর্পিত রাষ্টীয় দায়িত্ব সততার সহিত পালন করিব।
আমি বাশঁখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,বাশঁখালী সরকারি আলাওল ডিগ্রী কলেজ থেকে এইস এস সি,চট্রগ্রাম কলেজ থেকে বিএসসি,এমএসসি শেষ করি।
পরে চট্রগ্রাম আইন কলেজ থেকে এল.এল বিশেষ করে ৮ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে আইনজীবিদের বহুল প্রতীক্ষিত সনদ এডভোকেটশীপ গ্রহণ করি। সেই সাথে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়ে আইন ব্যবসা শুরু করি। আমার চেম্বার শাপলা ভবন এর রুম ১২৩ নং। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আমাকে যে রাষ্ট্রীয় পদটি অর্পিতা করেছে এটা আমি নয়, পুরো দেশের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রতি সম্মান দেখিয়েন সরকার।
সাধারণত একজন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ভুমিকা কি? আসামীর সাজা নিশ্চিত করা নাকি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। মূল আসামি সাজা এবং ভুক্তভোগির স্বীকার হওয়া ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করা। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমার উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যেন কোন প্রকার বিচলিত না হয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে যেন পালন করতে পারি।