চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জুলাই-আগস্ট ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে আহত ৭ যোদ্ধাদের পুনর্বাসন করেছে চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সচেতন নাগরিক সমাজ। সেইসঙ্গে তাদের সম্মননাও প্রদান করা হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানে আহত ৭ জনই প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন— জুনায়েদ ইসলাম, আবুল কাশেম, সৈকত দাস, মো. ইউনুছ, সাগের উল্লাহ, মো. সায়েম ও মো. জুয়েল।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন কক্ষে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত সহযোদ্ধাদের সম্মাননা ও পুনর্বাসনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আন্দোলনে রক্তদানকারী সব আহতদের আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবো। তবে, একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই এ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা পাঁয়তারা করছে। দিল্লির মদদে দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরে এ দেশ পরিচালিত হয়েছে। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে ফ্যাসিস্ট মুজিবের খুনি কন্যা শেখ হাসিনা এ বাংলাদেশ চালিয়েছে। আমরা এ দেশে কোনো আধিপত্যবাদী দেশের ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দিবো না। আমরা এ বাংলাদেশে মুজিবাদের কবর রচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, আজকের ৭ জন ছাড়াও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ৭ জনকে পুনর্বাসন করতে চেয়েছেন এবং একজনকে চাকুরি দিবে বলে জানিয়েছেন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে ৭ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বিজিবি থেকে ১০০ জনকে এবং আনসার থেকে ১ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যারা জুলাইকে ভুলে যাবে তারা তাদের অস্তিত্বকে ভুলে যাবে। যারা জুলাইকে ভুলে যাবে তারা আমাদের আহত ভাইদের ভুলে যাবে। যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম সে বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই যে দেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করবে।
শহীদ জসিমের মা বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তাদের ফাঁসি চাই।
মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌসের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যক ফরহাদ মজহার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ এনাম, আফিয়া আফরোজ, সাইফুল ইসলাম, সাদিয়া, নীলা আফরোজ প্রমুখ।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ