সিপ্লাস ডেস্ক: ব্যক্তিগত কিংবা অফিসিয়াল সব কাজেই এখন জি-মেইল ব্যবহার করছেন। সারাক্ষণ বিভিন্ন দরকারি মেইলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রমোশনাল মেইল এসে স্টোরেজ ভরে থাকে। ফলে পরবর্তীতে অনেক জরুরি মেইলও আসতে পারে না। প্রতিটি গুগল অ্যাকাউন্টের জন্য বিনামূল্যে ১৫জিবি স্টোরেজ অফার করে ইমেল সার্ভিসটি। এটি শেষ হয়ে গেলেই বাঁধে বিপত্তি।
জেনে নিন কীভাবে খুব সহজেই জি-মেইলের স্টোরেজ খালি করতে পারবেন-
>> প্রথমেই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে পুরোনো এবং অপ্রয়োজনীয় ইমেলগুলো ডিলিট করুন, যা এখন আর আপনার কোনো কাজে লাগে না। তার জন্য জিমেলের সার্চ বার থেকেই দিন, প্রেরক বা অন্য যে কোনো কি-ওয়ার্ড অনুযায়ী সার্চ করে এক-এক করে ইমেলগুলো ডিলিট করে দিন।
>> ফিল্টারের সাহায্যে আপনি ই-মেইলগুলোকে বিভিন্ন ফোল্ডারে অটোমেটিক্যালি অর্গ্যানাইজ করতে পারেন। এতে আপনার ই-মেইল খুঁজে পাওয়া এবং সেখান থেকে ম্যানেজ করার কাজটি খুবই সহজ হতে পারে। এজন্য কিছুটা জায়গাও বাঁচাতে পারেন আপনি।
>> কম পরিমাণে অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করুন। আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টের অনেকখানি জায়গা দখল করে নিতে পারে অ্যাটাচমেন্ট। সেক্ষেত্রে আপনি কোনো ফাইল অ্যাটাচ করার পরিবর্তে ফাইল লিঙ্ক করতে পারেন।
>> নিয়মিত স্প্যাম ও ট্র্যাশ ফোল্ডার খালি করুন। স্প্যাম ও ট্র্যাশে অনেক সময় এমন কিছু ই-মেইল থাকে, যা আপনার জিমেল স্টোরেজের অনেকখানিই জায়গা খেয়ে নেয়। প্রতিনিয়ত আপনি যদি স্প্যাম ও ট্র্যাশ ফোল্ডার খালি করেন, তাহলে অনেকটাই জায়গা বাঁচাতে পারবেন।
>> বড় ফাইল স্টোর করতে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন। আপনি যদি ঘনঘন বড় ফাইল পেয়ে থাকেন বা পাঠাতে থাকেন, তাহলে গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্সের মতো ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টের জায়গা অনেকটাই খালি হতে পারে।
>> অযাচিত ই-মেইল এবং নিউজলেটার থেকে আনসাবস্ক্রাইব করুন। এমন অনেক ই-মেইল আমাদের কাছে আসে, যা সত্যিই অপ্রয়োজনীয়। ভুলবশতও অনেক সময় আমরা কিছু ইমেল সাবস্ক্রাইব করে থাকি। এমনতর ইমেলগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন এবং সেগুলো আনসাবস্ক্রাইব করুন।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও