নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত পাকিস্তানের করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি জাহাজ রুট চালু হয়। গত ১৩ নভেম্বর আমদানি পণ্য নিয়ে পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। চট্টগ্রাম-করাচি সরাসরি সমুদ্র বাণিজ্য শুরুর মধ্য দিয়ে বিশ্ব বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এবার সেই দিগন্তের সীমা বৃহত্তর করতে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার একটি অনুরোধও পেয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান।গণমাধ্যমের কাছে এই কথা জানান।
তৌফিক হাসান বলেন, পাকিস্তান ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট আবার চালু করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবনাটি বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের সরাসরি জাহাজ রুট চালু হওয়ায় ভারতের আনন্দবাজার, দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন, টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া কয়েকটি গণমাধ্যমে ফলাও করে নানান সংবাদ প্রচার করা হয়।
১৫ নভেম্বর টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে (সেভেন সিস্টার্স) সম্ভাব্য অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের এ দুটি বন্দর থেকে চীনকে দূরে রেখেছিল।
১৬ নভেম্বর ভারতীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বাংলাদেশের সরকারি নীতির একাধিক ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাক সেনার অত্যাচার, গণধর্ষণ, হত্যালীলার কথা বারে বারে প্রকাশ্যেই বলেছে ঢাকা। কিন্তু গত ৫ অগস্ট গণবিক্ষোভের জেরে হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং ভারতে চলে আসার পরে অনেক কাছাকাছি এসেছে ইসলামাবাদ-ঢাকা।
জানা যায়, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) আগে ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালাতো। পিআইএ কর্মী ও যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে এয়ারলাইনসটি ২০১৫ সালে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। এখন আবার একই রুটে বাংলাদেশের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে পাকিস্তান আগ্রহ দেখিয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি