জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার: গয়েশ্বর

সিপ্লাস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক চাপে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করতে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, চাপ নেই বললেও নানামুখী চাপের কারণে ক্ষমতাসীনরা  বেসামাল হয়ে পড়েছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় গয়েরশ্বর চন্দ্র রায় এ সব কথা বলেন।

বিএনপির নীতি নির্ধারনী ফোরামের এই সদস্য বলেন, এখন সরকারের বিলাপের সময়, সংলাপের নয়। অবিলম্বে ১০ দফা মেনে নিয়ে বিদায় নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আর বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে মানুষের অধিকারের পক্ষে জোয়ার আঁচ করতে পারছে না সরকার। মরণ কামড় দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না তার উপস্বর্গ দেখা যাচ্ছে। এক সময় বিশ্বাস করলেও পশ্চিমা বিশ্ব আবিস্কার করেছে সরকার  এতোদিন জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দমনের নাটক করেছে। ১৫ই আগস্টের ঘটনায় জড়িতদের বেঁচে থাকা মানুষজন শেখ হাসিনার আশেপাশেই রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, দেশের গণমাধ্যম এক সময় বর্তমান সরকারের অপকর্মও প্রচার করবে। সাংবাদিকরা সাগর রুনী হত্যার বিচার চাক বা না চাক দেশের জনগণ বিচার করবে। জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসবে মিটিং করবে এটাই স্বাভাবিক এতোদিন কেন করতে দেয়া হয় নাই সেটাই প্রশ্ন।

পরে তিনি বলেন, জামায়াতকে কর্মসুচির অনুমতি দিতে সরকার বাধ্য হইছে। কম্ফোর্টেবল এক্সিটের। নিরাপদ থাকতে সরকার, সচিবালয়, প্রশাসনের দুইতিন শতাংশ লোকজন লুটপাট করছে। গুটিকয়েক লোকের দায় চাকরীজীবীরা দায় নেবে না। সরকারের নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দেয়া। অন্য কোন বিকল্প নাই তাদের। ভিসানীতি স্যাংশন বিরোধী দলের জন্য আলীগ সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য পাগলের প্রলাপ। আওয়ামী লীগের এখন বিলাপের সময় সংলাপের নয়।

Scroll to Top