জলাবদ্ধতা নিরসন: টাকার জন্য কাজ করতে পারছে না চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে নগরীর ভরাট হয়ে যাওয়া নালাগুলো অনেকাংশে দায়ী। আর এ নালা পরিস্কারের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)। তবে নালা আর পরিস্কার করবে কিভাবে? চসিকের যে টাকা নেই! দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া নামমাত্র ৫ কোটি টাকা আর বক্স কালভার্ট পরিস্কারের জন্য পাওয়া আড়াই কোটি টাকাই পেয়েছে সংস্থাটি। তাই বর্ষা মৌসুম চলে এলেও টাকার অভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছে না সংস্থাটি।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে নালা সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে চসিককে এ টাকা দেয়া হয়েছে। তবে এ টাকায় চসিককে ১৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার শর্ত দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪১ ওয়ার্ড জুড়ে বিদ্যমান নালাগুলোকে ১৪৮টি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি প্রকল্প করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের অধীনে মাঠপর্যায়ে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের নালাগুলো থেকে মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে। টি আর কর্মসূচির আওতায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এত কম টাকায় পুরো নগরীর নালাগুলো কিভাবে সংস্কার করা হবে বা মাটি উত্তোলন করা হবে-সেটাই এখন দেখার বিষয় মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

তবে জানা গেছে, টিআর কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী কোনো প্রকল্প বাজেট ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না। তাই টি আর প্রজেক্টের ৫ কোটি টাকাকে ১৪৮টি প্রকল্পে ভাগ করতে হয়েছে। অর্থাৎ টাকা কম হলেও প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোেরেশনকে জলাবদ্ধতা নিরসন বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোটে ৮-১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৪৮ প্রকল্প বাবদ ৫ কোটি, বক্স কালভার্ট সংস্কারের জন্য আড়াই কোটি টাকা উল্লেখযোগ্য।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, টিআর কর্মসূচির আওতায় নালার মাটি উত্তোলনের কাজ চলমান। যেহেতু টিআরের আওতায় বড় বাজেটের প্রকল্প নেওয়া যায় না, তাই ছোট ছোট আকারে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। পরবর্তীতে কাটছাঁট করে সেখানে প্রকল্প মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির ব্যয় বাজেট চুড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সেটি অনুমোদন হয়ে আসতে আসতে অনেক সময় বাকি। বর্তমান বর্ষা মৌসুমের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই পাঁচ কোটি টাকার কাজই সবেধন নীলমণি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকলে কাজ করা কঠিন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ

Scroll to Top