জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক মেয়রের সাফল্য, প্রধান উপদেষ্টার সন্তোষ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মেয়র।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহোদয়ের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা দুই দশক পর সফলভাবে নিরসন করায় আমাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং এ প্রচেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।

আমি প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে জানিয়েছি, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ২০২৪ সালে নগরের ৮৫টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ২০২৫ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩৩–এ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে নগরে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা কমেছে ৫২টি।

আমি মেয়র হওয়ার পর সব সংস্থাকে নিয়ে বসেছি। চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা আমরা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ নগরীর ৩৬টি খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও পুনঃখনন কাজ করছে। এর বাইরে সিটি করপোরেশন একটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে নগরীর বাকি ২১টি খাল খনন জরুরি। এ জন্য প্রকল্প নেওয়া দরকার। প্রধান উপদেষ্টা মেয়রকে ২১টি খাল খননের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে জমা দিতে বলেছেন। ইনশাআল্লাহ শিগগির বাকি ২১টি খাল খনন করে চট্টগ্রামকে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতামুক্ত করা হবে৷

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

মেয়র আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম নগরকে একটি জলাবদ্ধতামুক্ত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা সম্ভব হবে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top