জলদস্যুদের হামলায় আনোয়ারার ৫ জেলে আহত, মাছ ও মালামাল লুট

আনোয়ারা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু নদী নদীর মোহনায় মাছ ধরে ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা গ্রামের একটি মাছ ধরার নৌকায় সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলায় ৫ জেলে আহত হয়েছে। এসময় জেলেদের মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৩ টার দিকে এঘটনা ঘটে। পরে জলদস্যুরা চলে গেলে জেলেরা অপর একটি নৌকায় উঠে উপকূলে ফিরে আসে।

এ ঘটনায় বাঁশখালী থানাধীন প্রেমাশিয়া গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে ফিরোজের নাম উল্লেখ করে বার আউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলে শওকত হোসেন (৩৫)।

ভুক্তভোগী জেলে শওকত হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরার পর আমরা ৩/৪ মণ মাছ নিয়ে ঘাটের পথে ফিরছিলাম। হঠাৎ এক টেম্পু বোট আমাদের পিছু নেয় ও পাথর পাথর ছুড়তে থাকে। জীবন বাঁচাতে ইঞ্জিন বন্ধ করি। পরে তারা আমাদের নৌকায় উঠে লাঠি, দা দিয়ে চারজনকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। আমাকে তাদের বোটে তুলে মারধর করে। মাছ, মোবাইলসহ সব কিছু নিয়ে যায়। পরে আমিসহ ৪ জনকে সাগর থেকে নৌকায় তুলে ফিরে আসি। আমরা বাঁশখালীর ফিরোজ নামে এক জলদস্যুকে চিনতে পেরেছি।

এই হামলার পর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, বারবার এমন হামলার শিকার হলেও কার্যকর প্রতিরোধ বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সাগরে মাছ ধরতে হচ্ছে জেলেদের।

ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির রায়পুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান নাগু বলেন, বাঁশখালীর প্রেমাশিয়ার জলদস্যুরা আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ হল জলদস্যুদের নেতা। প্রশাসনকে সাগরে মাছ শিকারে জেলেদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

জানতে চাইলে আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সাগরে টহল জোরদার করব।

চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এমকেএন

Scroll to Top