রাউজান প্রতিনিধি : ঘরভর্তি মেহমান, কেউ ব্যস্ত চা-নাস্তা আপ্যায়নে, কেউ খোশগল্পে, কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বরযাত্রার আর বরের মা ছকিনা বেগম মেহমানদের সাথে কুশলাদি বিনিময়ে ব্যস্ত। রাউজান পৌরসভা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল বরযাত্রীদের জন্য রান্নার আয়োজন। হঠাৎ ঘটে যায় ছন্দ পতন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরপারের যাত্রী হয়ে গেলেন বরের মা। এই যেন হর্ষে-বিষাদ। মুহূর্তেই স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে বিয়ে বাড়ি ও পুরো এলাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টার সময় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত আলী আহমদ সিকদারের বাড়িতে।
আজ প্রয়াত আলী আহমদ ও ছকিনা বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ ছেলে প্রবাসী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক মাছুমের বিয়ে। গতকাল বুধবার ছিল তার মেহদী রজনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে ছেলেকে দোয়া করেছেন মা। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা আড়াইটায় ছেলের সাথে বরযাত্রী হয়ে বিয়ে আসরে যাওয়ার কথা। তবে তা আর হলো না। ঠিক একই সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে মায়ের জানাজা।
বরের খালতো ভাই মাওলানা মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী বলেন, গতরাত (বুধবার) ছিল আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেহেদী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের মঞ্চে খালাম্মার (বরের মা) সাথে আমিও উঠেছিলাম। আজ সকালে সবাই চা-নাস্তা আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় পার করছিল। খালাম্মাও চা খেয়ে বসেছিল। হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ হয় নি। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। বিয়ের আয়োজনও বাতিল হয়ে যায়।
তিনি বলেন, তবে বেলা আড়াইটায় জানাজা শেষে দাফন শেষে কয়েকজন লোক কনের বাপের বাড়ি গিয়ে আক্বদ শেষে মেয়ে নিয়ে এসেছি।
জানা গেছে, ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্য আবু বকর সবার ছোট। প্রায় দেড়যুগ আগে আবু বকরের বড় ভাই প্রবাসে ১০ তালা ভবন থেকে পড়ে মারা যান।
চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এসএ