ছাত্রকে ধর্ষণের অপরাধে মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

তার নাম মো. ইসমাইল (৪৬)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বার বাসিন্দা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইদুর রহমান গাজী এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. পারভেজ রায়ের বিষয়টি জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ১২ বছর বয়সী শিশুটি ওই মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র ছিল। মাদরাসার ছাত্রাবাসে শিশুটি থাকতো। ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শিশুটির মা মাদরাসায় ছেলের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, ছেলে খুবই অসুস্থ। সে তার তলপেটে ব্যাথার কথা মাকে জানায়। ৩০ সেপ্টেম্বর আবার দেখা করতে গেলে শিশুটি তার মাকে আবারও তলপেটে ব্যাথার বিষয়টি জানায়। তার মা এর কারণ জিজ্ঞেস করলে একপর্যায়ে ছেলে জানায়, মাদরাসায় ভর্তির পর থেকে শিক্ষক ইসমাইল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছেন।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার ষষ্ঠ তলায় গোসলখানায় নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন ইসলাম। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনা জানার পর তার মা বিষয়টি ৫ অক্টোবর মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানান। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষক ইসমাইলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করেন শিশুটির মা।

ওই মামলা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুলিশের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ গঠনের পর ৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত অভিযুক্ত ইসমাইলের বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. পারভেজ জানান, গ্রেফতারের পর থেকে ইসমাইল কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top