চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সিলেটের বিশ্বনাথে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে নির্যাতন করে এক যুবকের চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা ও পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পাশে সরকারি গুচ্ছগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম আব্দুল আহাদ (৪০)। তিনি গুচ্ছগ্রামের মৃত সাজিদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, চোর সন্দেহে আহাদের বসতঘর ভাঙচুর ও তাঁর ওপর নির্যাতন চালায় কয়েকজন। পরে তাঁকে একই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে আহত আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রহিমপুর গ্রামের শাহান শাহ, শফিউর রহমান, ইমরান মিয়া, মিলাদ উদ্দিন ও মারুফুল ইসলাম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৫ মার্চ রাতে রহিমপুর গ্রামের মাইজপাড়া জামে মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এর জেরে আহাদকে চোর সন্দেহ করে নিজ ঘরে মারধর করে তুলে নেওয়া হয় রহিমপুরের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে। সেখান থেকে পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন