নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে দিনে ৩০০-৩২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় গ্যাস মিলছে না।
ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
চট্টগ্রাম মহানগর ও ১১টি উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
এসব এলাকায় মোট গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি, অন্যগুলো শিল্প-বাণিজ্যসহ অন্য খাতে।
দেশে আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল রয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুটি টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে সামিট গ্রুপের ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাকলায়েন জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যে গ্যাস সরবরাহে একটু সমস্যা হচ্ছে।
আনোয়ারার রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ১১ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এতে কারখানাটি এক বছরে প্রায় ১০৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস পেয়ে থাকে। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমরা এখন পাচ্ছি না। একটা লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। ধারণা করছি, একমাস ধরে এই সংকট চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় যেহেতু শিল্প-কারখানা চলে, তাই এই সময়ে একটু সমস্যা থাকবে। তবে রাতে তেমন একটা সংকট থাকবে না।