নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমনের ভরা মৌসুমেও চাল নিয়ে চালবাজি চলছেই। সরবরাহ কম অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে চালের দাম। ভরা মৌসুমের চালের দাম বাড়ায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৭ জানুয়ারি দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের চার দিন সময় বেঁধে দেন। তবে দেরিতে হলেও দাম কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ বেশি বেড়ে, কমেছে সামান্য।
নগরীর চালের আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, পাইজাম সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, বেতী আতপ এবং মোটা সিদ্ধ চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
মূলত সরবরাহ বাড়ায় পাইকারিতে চালের দাম কমছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক ক্যাটাগরির চালের দাম ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
তবে ১২ জানুয়ারি চিকন ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) বেড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হয়েছিলো। সেই তুলনায় বর্তমানে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা কমায় দাম কমানোর চেয়ে বাড়ানোর হার বেশি হিসেবে দেখছেন ভোক্তারা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম চাটগাঁ নিউজকে জানান, গত এক মাস আগে আমন ধান উঠেছে। ধানের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। তারপরেও অজানা কারণে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন চালের সরবরাহ তুলনামূলকভাবে বাড়ার কারণে দামও পড়তির দিকে রয়েছে।
বর্তমানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ১০০ টাকা কমে ২ হাজার ৩৫০ টাকা, বেতী আতপ ৫০ টাকা কমে ২ হাজার ৫০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।
তাছাড়া মিনিকেট সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা,কাটারিভোগ সিদ্ধ ৩ হাজার ৪০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ বস্তাপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, মিনিকেট আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়।
সাধারণত জানুয়ারি মাসে কৃষকের ঘরে ঘরে নতুন আমন ধান মজুদ থাকে। পরবর্তীতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের অভিযানের প্রেক্ষিতে উত্তরাঞ্চলীয় চালের মোকামগুলোতে চালের সরবরাহ বাড়ে। এর প্রভাবে দাম কমতে শুরু করে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ/এসবিএন