চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় আসার কথা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার। তার এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিকদের ভিসা অব্যাহতি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনসংক্রান্ত (এফওসি) দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।
শনিবার রাত ১১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সফরকালে তিমুরের প্রেসিডেন্ট আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি ও ফরেন অফিস কনসালটেশন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এর আগে সকালে তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল সকালে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। এরপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তার দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী তিমুরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। এদিন রাতেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে এটি তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি