চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ৫ কোটি টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও র্যাবের-৭ এর সাবেক এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নিবরাস (২৯)।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, আদালতে মামলার আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্ণধার নুর মোহাম্মদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন সাবেক আইজিপি ও তৎকালীন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে বন্দর থানার চোরাচালান ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি করে দেন। ডিবি পুলিশ তদন্তে নুর মোহাম্মদের নাম বাদ দেন। নগরের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি নুর মোহাম্মদকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বেনজীরের জন্য এএসপি মহিউদ্দিন ফারুক পুনরায় ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। নিজের জন্য দাবি করেন ১ কোটি টাকা। কোনো টাকা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। কোকেন সন্দেহে পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ ৪টি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোকেন জব্দের ঘটনায় নগরের বন্দর থানায় আইনে মামলা হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৮ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ