চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৌহিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে করপোরেশনের প্রধান ফটকে তালা মেরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে ১৫ দিনের আলটিমেটাম এবং মেয়রের আশ্বাসে ফটকের গেট খুলে দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার পর চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায় চসিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা সরকারের এই যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এক পর্যায়ে সেখানে হাজির হন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘মেয়র আ জ ম নাছিরের আমলে ইসহাক ব্রাদার্সের রাজস্ব আদায়ে ঘাপলা হয়। আ জ ম নাছিরের পর খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসক ছিলেন। তারপর মেয়র ছিলেন রেজাউল করিম। তখন সিইও ছিলেন এই তৌহিদ সাহেব।’
মেয়র আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পর রেজাউল করিম পালিয়ে গেলে তৌহিদ সাহেব চসিকের সর্বেসর্বা ছিলেন। তিনি কেন ওই সময়টাতে ইসহাক ব্রাদার্সের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেননি? আমরা মহিউদ্দিন মুরাদ (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করে দিয়েছি। প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছেন উল্লেখ করে মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প তার টেবিলে গিয়ে থেমে যায় বলে অভিযোগ পেয়েছি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে রাখা হবে না।’
বিক্ষোভকারীরা ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ শেষ করেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক মূল্যায়নে ইসহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পৌরকরের স্থলে ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়। অন্যদিকে, ইনকনট্রেন্ড ডিপোর ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পৌরকর মাত্র ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেখানো হয়। এই দুটি কেস মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি টাকার ফাঁকি হয়েছে বলে দুদকের তদন্তে ধরা পড়ে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ






