চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরস্পর বিরোধী অবস্থানের অবসান হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্ট গঠনের অনুমোদন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন চলে আইনি লড়াই চলছিল। ট্রাস্ট গঠনের অনুমোদনের চিঠি চ্যালেঞ্জ করে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিলেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
গত ২৪ ডিসেম্বর স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত। এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ। এ স্থগিতাদেশের ফলে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ এখন আইনত চসিকের হাতেই চলে এল।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম মোছাদ্দেক বিল্লাহ। অপর পক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার পরিবারের পক্ষে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমীর। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট নকিব সাইফুল্লাহ।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যায় ২০১৭ সালে প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে সুপ্রিম কোর্টে কোনো আপিল দায়ের করেনি। পরে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি