চবি শিক্ষার্থী আলাওল হত্যা— স্ত্রীর যাবজ্জীবন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক:  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু ও তাঁর স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২২ জুলাই) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো.আবদুর রহমানের আদালত এই রায় দেন।

সরকারি কৌঁসুলি মাইনুল হোসেন ভুইয়া বলেন— আদালত আসামি মো. ইকবালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড; তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড এবং ইকবালের সহযোগী মো. হেলালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শহীদনগর এলাকা থেকে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ একটি ভাড়া বাসার টয়লেট থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় চবির বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মো. আলাউদ্দিন আলাওলের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। যেখানে বলা হয়— ইয়াসমিনকে পড়াতেন আলাউদ্দিন। এতে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরী হয়। পরে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ে গেলে দু’জনের ঘনিষ্ঠ সময়ের কিছু ভিডিও চিত্র দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল (প্রতারণা) করে আসছিলেন আলাউদ্দিন। এরই ফলে অতিষ্ঠ হয়ে ইয়াসমিন এবং তার স্বামী ইকবাল মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং বাসা ভাড়া নেওয়ার নাটক সাজান।

পরে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তারা শহীদনগর এলাকার একটি বাসায় যান। সেখানে ডেকে নেয়া হয় আলাউদ্দিনকে। বাসা পছন্দ হয়েছে জানিয়ে সেখানে অবস্থান করতে থাকেন তারা। পরে সেখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলাউদ্দিনকে। খুনের পর করে হাত–পা বেঁধে ওই ঘরের টয়লেটের মধ্যে ফেলে তারা চলে যান।

এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

তবে আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি মাইনুল হোসেন ভুইয়া। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top