চবি প্রক্টর-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ এনে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চবি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামীকাল (বুধবার) বেলা একটার মধ্যে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ওই সময়ের মধ্যে তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, ‘গতকাল সোমবার প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে চাকসু নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার দাবি জানাই আমরা। কিন্তু পরে রেজিস্ট্রার গণমাধ্যমে এবং প্রক্টর ফেসবুকে ছাত্রদলকে নিয়ে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। ক্ষমা না চাইলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন তখনই আসে যখন ভুল হয়। যদি তারা আমার ছাত্র হতো, তাহলে সরাসরি কথা বলত। আমি কোনো কমিটির সদস্য নই, তাহলে আমার অব্যাহতি চাইবে কেন? আমি শুধু বলেছি, তারা যদি প্রকৃত ছাত্র হতো, তাহলে চাকসু সম্পর্কে জানত। এখন তারা রাজনৈতিকভাবে ভাবতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে কখনো পক্ষপাতমূলক আচরণ হয়নি বা কারও মুখপাত্র হিসেবে কাজ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে আইন মেনে নিরপেক্ষ থেকেছি। চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব পদ থেকে আমি দুই মাস আগে পদত্যাগ করেছি। ছাত্রদলের কর্মসূচিতেও আমি অতিথি হিসেবে ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, নারীবিদ্বেষী চাকসু নীতিমালার বিষয়ে অভিযোগ তুলতে হলে কেবল দুজন নয়, সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার দাবি করা উচিত ছিল। আর ফেসবুকে ছাত্রদলের নামে আমি কোনো মন্তব্য করিনি।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top