চবির হল ক্যান্টিনে পচা-বাসি খাবার, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে নষ্ট-বাসি-পচা খাবার উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে তারা হল প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ করে হলের ক্যান্টিনে তালা মেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সাথে তুলে ধরে ১৩ দফা দাবি।

আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যান্টিন ও দোকান বন্ধ ঘোষণা করে প্রক্টরিয়াল বডি ও দুই হলের প্রভোস্টরা।

শিক্ষার্থীরা জানান— ডাইনিংয়ের ফ্রিজ থেকে নষ্ট ডিম, মাছের পচা ডিম, সিগারেটের প্যাকেট এবং দোকানের ফ্রিজ থেকে বাসি মাংস, ঝোল এবং খিচুড়ি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার, তেল ও নোংরা থালা বাসনে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, পচা খাবার ফ্রিজে রেখে ২-৩ দিন পরে খাওয়ানো হয়, এমনকি কৃত্রিম রং মিশিয়ে খাবার আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

ডাইনিং ম্যানেজার জয়নাল আবেদিন বলেন, গতকাল কেনা ডিম সিদ্ধ করার পর যেগুলো নষ্ট পাই, সেগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য আলাদা করে রেখেছিলাম।

দোকানদার আলম মিয়া বলেন, যে মুরগি পাওয়া গেছে, তা একজন শিক্ষার্থীর রাখা মুরগি। আমার কিছু না। তবে এমন আর ঘটবে না বলেও জানান তিনি।

এ এফ রহমান হলের হাউজ টিউটর মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক বলেন, ক্যান্টিন ও দোকানে হাইজিনের কোনো মানদণ্ড নেই। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।

সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ বলেন, খাবারের বাজে অবস্থা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন প্রশাসনের কাছে। যার মধ্যে রয়েছে—পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন নিশ্চিতকরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, দোকান-মালিক পরিবর্তন, নতুন টেবিল-চেয়ার, ফ্যান ও লাইটিং, শিশু শ্রম বন্ধ, নিয়মিত পরিচর্যা, বাটি পরিবর্তন, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, কর্মচারীর আচরণবিধি মেনে চলা, দুটি নতুন দোকান স্থাপন এবং সব দোকানে পরিচ্ছন্ন বেসিন স্থাপন।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top