চবিতে ২ বছর পর ভুয়া শিক্ষার্থী ধরা, সক্রিয় ছাত্রলীগেও

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইতিহাস বিভাগে ২ বছর ক্লাস করার পর তাকে ভুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিভাগের ২০২ নম্বর কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা দেওয়ার সময় মো. রাব্বি মিয়া নামে ওই শিক্ষার্থী শনাক্ত হয়। এই ‘ভুয়া ছাত্র’ ছাত্রলীগ পরিচয়ে সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন কয়েকবার। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী শহীদ আব্দুর রহমান হলে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২ কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে বললে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী তার নাম ও আইডি নাম্বার বলতে পারেনি। পরবর্তীতে অফিস কক্ষে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এই তথ্য উঠে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় চবি ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের ২৩ কর্মীকে শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জড়িত গ্রুপ দুটি হলো ‘বিজয়’ ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। সংঘর্ষের ঘটনায় শনাক্তদের শোকজের নোটিশ পাঠাতে গেলে ওই ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম, আইডি কিছুই মিলছিলো না বলে জানান তদন্ত কমিটি। তারা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাডেমিক সেকশনে খোঁজ নিয়ে দেখে ওই নামের কোনো শিক্ষার্থীর নাম বা আইডি নেই, সে ভুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে দুই বছর ক্লাস- পরীক্ষা দিচ্ছে।

ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২০২২ সেশনের (৫৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাব্বি গত ২ বছর ধরে তাদের সঙ্গে ক্লাস করতেন। একসঙ্গে চলাফেরা ও ব্যাচ ট্যুরেও গিয়েছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হল এর শিক্ষার্থী ছিলেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাব্বির মিয়াকে একাধিকবার ফোন করেও ফোনে পাওয়া যায়নি এবং ঘটনার পর থেকে তার ফেসবুক আইডিও নিষ্ক্রিয় রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানেত ইতিহাস বিভাগের সভাপতি শামীমা হায়দারকে একাধিকবার ফোন করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত বলেন, আমাদের কাছে ওই ছাত্রের বিষয়ে আরও একাধিক অভিযোগ আছে। যা কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনা তদন্তে তার তথ্য উঠে আসে। আমরা কিছুতে তার পরিচয় মিলাতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারলাম সে যে বিভাগের পরিচয় দেয় ওই বিভাগের ছাত্রই না। বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top