চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফের পাহাড় কাটা শুরু, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানের আসার খবরে পালিয়েছে পাহাড়খেকোরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পাহাড়া কাটা হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগেও কয়েকবার তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয় বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্ব জামিরজুরী বৈল্লা পুকুর পাড় পুকারি পাহাড়ে স্থানে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড় কাটার সময় এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কোন কিছু জব্দ করা হয়নি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাহাড় কাটা হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আমরা স্বাক্ষী বা কোন প্রকার কথা বললে আমাদের উপর নির্মম নির্যাতন করবে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বাকীর করে বলেন, পাহাড়টি আমার না, আমি মাটি কাটিনি। আগে পাহাড় কেটে প্রজেক্ট করার সময় ভাম্যমাণ আদালতে আমাকে জরিমানা করেছে। প্রজেক্টে এখন মাছ চাষ হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, অভিযুক্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্কেভেটর দিয়ে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্ব জামিরজুরী বৈল্লা পুকুর পাড় পুকারি পাহাড়ে কাটছে বলে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থল থেকে কোন কিছু জব্দ করা হয়নি। চন্দনাইশ থানা পুলিশের একটি টিম ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা অভিযানে সহায়তা করে।