চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চন্দনাইশে দাম্পত্য কলহের জেরে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর শরীরে অকটেন ঢেলে আগুন দিয়েছেন এক পাষণ্ড স্বামী। এতে ওই গৃহবধূর শরীরের ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাউলিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম নাজমা আক্তার। সে ওই এলাকার সেলিমের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুছ ছালাম ওরফে আবদুলের ছেলে আব্দুল জব্বার পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিস মিঞা জানান, দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুচ ছালামের ছেলে আব্দুল জব্বারের সাথে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাউলিয়া পাড়া এলাকার সেলিমের মেয়ে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয় বিগত ৬/৭ বছর আগে। ওই দম্পতির দুইটি সন্তানও রয়েছে। গত একমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসে। গত একমাস যাবত সে শ্বশুর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নাজমা রান্না করা অবস্থায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী জব্বারের হাতে থাকা প্লাস্টিকের বোতল থেকে অকটেন নাজমার গায়ে নিক্ষেপ করলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) রেফার করে।
এবিষয়ে দোহাজারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ঊর্মি চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগীর চেহারা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। হাত, পা ও শ্বাসযন্ত্র সহ শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দিতে হবে। সেজন্য আমরা তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেছি।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ /ফয়সাল /ইউডি