বোয়ালখালী প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে চট্টগ্রাম ৮ (বোয়ালখালী -চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ ) আসনে নির্বাচনকে ঘিরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নোমান আল মাহমুদ এর প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর রয়েছে।
তবে ভোটাররা জানান, আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় অনেক ভোটার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে কেন্দ্রেও যাবেন না। তবে ভোটার কেন্দ্রে টানতে তিন প্রার্থীর পক্ষের কর্মীরা মাঠে সরব।
তারা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী। জাপার প্রেসিডিয়ার সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন,পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকারিয়াসহ তাদের একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম (কেটলি) সঙ্গে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা ও দক্ষিণজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আরা বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) সঙ্গে এবং জাতীয় পাটির্র মনোনীত সোলায়মান আলম শেঠ (লাঙ্গল) পক্ষে কাউন্সিলর তারেকুল ইসলামসহ কিছু আওয়ামী লীগে নেতা কাজ করছেন। ফলে এ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
আওয়ামী লীগের দুই নেতা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই দুই প্রার্থীর পক্ষে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা ও সমাবেশে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের।
অপরদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকে তার পক্ষে প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বিধায় আমি কেটলি প্রতীকে আবদুচ ছালামের পক্ষে প্রচার প্রচারণা করছি। অন্য কেউ যাকে পছন্দ হয় তার পক্ষে কাজ করবে। তাতে দলীয় কোনো বাধা নেই।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের যে কাউকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করে আমি বিজয় কুমার চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা অসামপ্রদায়িক রাজনীতি করি। কে কাকে ভোট দিবে সেটা বলা যাচ্ছে না। আমি বিজয় কুমার চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছি সেটা সবাই জানে। সে বোয়ালখালী সন্তান বিধায় তাঁর পক্ষে কাজ করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী ও জাপার প্রেসিডিয়ার সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ ভোটারদের প্রত্যাশা, তারা যেন সংঘাত ছাড়া নির্বিঘ্নে, উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং যাকে ভোট দিবেন তিনিই যেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চাটগাঁ নিউজ/এম আর