চট্টগ্রামের ৮টি আসনের ১৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে চট্টগ্রাম-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। চট্টগ্রাম-২(ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। সকলের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।

একই অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের নিজাম উদ্দিন নাছির, আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড ও চসিক আংশিক) আসনের ৪ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহম্মদ ইমরান, আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের দুই প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও ভোটার-সমর্থকদের ভুল তথ্য দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ভোটারদের তালিকা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায়। একই কারণে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মনজুর হোসেন ও মোহাম্মদ মহিবুর রহমানের মনোনয়নও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

আর চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি দাখিল না করায় তাকে সোমবার পর্যন্ত তা দাখিলের সময় দেওয়া হয়েছে।

প্রথম দফা যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার সমর্থকের তালিকায় গরমিল থাকায় মনোনয়ন পত্রগুলো বাতিল করা হয়। বাতিল হলেও প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ আছে। এছাড়া কয়েকজন প্রার্থীর নথিপত্র পর্যাপ্ত না থাকায় তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে রোববার চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চসিক আংশিক), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।

চট্টগ্রামের ১৬ টি আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়ন জমা দেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

 

Scroll to Top