চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। দেশের প্রায় ২১ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে এই বিমানবন্দরটি। সম্প্রতি এই বিমান বন্দরটিকে বিশ্বমানের ও আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে চলছে মাস্টারপ্ল্যান। জার্মানির প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলছে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের সমীক্ষা জরিপ।
২০০০ সালে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক রূপ পাওয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ বছর। অথচ ৪ বছর আগেই সক্ষমতা হারিয়ে আসা এই বিমানবন্দর ২০২৩ সালেই ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী বহন করে রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪২৮ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪ জন।
যেখানে ২০২২ সালে বিমানবন্দরটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮ জন যাত্রী বহন করেছিল। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৪ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪ জন।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বলেন, আমাদের আশপাশে এরমধ্যে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের থার্ড টার্মিনালও উদ্বোধন হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়েছে। এর জন্যই মূলত আমরা এই মাস্টারপ্ল্যানটি করছি।
তাই বিমানবন্দরটির সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরটি রয়েছে, সেটির রানওয়ে সক্ষমতা যদি বাড়ানো হয় তাহলে বড় বড় কার্গো বিমান সেখানে যেকোনো সময়ে কার্গো নিয়ে ওঠানামা করতে পারবে।
বিশ্বের সব বন্দরের ব্যাকআপ হিসাবে অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের বিমান বন্দর থাকার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের কাছেই শাহ আমানত বিমানবন্দরের অবস্থান হলেও সুযোগ-সুবিধা সেখানে বিশ্বমানের ছিল না। অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, তিনটি পর্যায়ে চলবে বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার কার্যক্রম।
বিমানবন্দর আধুনিকায়নের বিষয়ে চট্টগ্রাম পপুলার ট্রাভেলর্স অ্যান্ড ট্যুরের মালিক সৈয়দ মো. ইকবাল হোসাইন জানান, অনেক সময়ে দেখা যায় দুয়েকটি ফ্লাইট নামার পর লাগেজ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। লাগেজের জন্য মানুষকে এক থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কাজেই বিমানবন্দরকে আগে লাগেজ ফেসিলিটির বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এতে অন্যান্য এয়ারলাইনসগুলো আসতে আগ্রহী হবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন ১৮টি অভ্যন্তরীণ এবং ৪০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করে। বছরে মাত্র ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল শাহ আমানত বিমানবন্দর। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখের বেশিতে। ২০৩০ সাল নাগাদ যা হবে ৩০ লাখ, ২০৪০ সালে ৫০ লাখ এবং ২০৭০ সালে দাঁড়াবে ১ কোটির বেশিতে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন