চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বাড়ছে কার্গো সক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে এ সুবিধা বাতিলের আদেশ জারি হয় গত ১ এপ্রিল। এরপর থেকে বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে বিমানের কার্গো অবকাঠামো বৃদ্ধিতে হাতে নিয়েছে নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা।

বিশেষ করে- গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, তৈরি পোশাকের নিরবচ্ছিন্ন রপ্তানি নিশ্চিত, জনবল নিয়োগ ও পরিবহণ খরচ কমানোর জন্য এ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আর এ কার্গো পরিবহনে যুক্ত করা হচ্ছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ সিলেটের ওসমানি বিমানবন্দরকে। এছাড়াও কার্গো কার্যক্রম সম্পর্কিত নানা ফি সমন্বয় করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার নির্দেশনায় বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমানবন্দরের কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

সভায় বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয় ঘাটতি নিরসন এবং মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলে কার্গো আমদানি ও রপ্তানির শর্তসমূহ পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তিনটি ধাপে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে নোটিশ জারি করে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি)। এর ফলে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশের ২০০০ কোটি টাকার খরচ বেড়েছে।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কার্গো পরিবহনে যুক্ত করার বিষয়ে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করার বিষয়টি আমাদের দেশের জন্য ইতিবাচক। এখন আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবো।

তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান আমাদের বেশকিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকেও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো কাজে লাগিয়ে আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপসহ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে কার্গো পরিবহন করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।

চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এমকেএন

Scroll to Top