চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, স্বজনদের দাবি নির্যাতনে হত্যা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারজান হোসেন সজীব (৩৬) নামে এক কয়েদি যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে নিহতের স্বজনের দাবি— তাকে কারা অভ্যন্তরে নির্যাতন করে মারা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কয়েদি সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি চাটগাঁ নিউজকে নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, ফারজান হোসেন সজীব নামের ওই যুবক চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাট এলাকার রামজয় মহাজন লেইনের বাসিন্দা মো. রফিকের সন্তান। তাদের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লায়।

আরো জানা গেছে, সজীব একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতিতেও জড়িত।

গত ২৬ মার্চ রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন জানান, সজীব গত ২৭ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের যমুনা ভবনের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন। আজ (শুক্রবার) সকালে সজীব বুকে ব্যথা অনুভব করার কথা জানালে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। চিকিৎসকের প্রতিবেদন অনুযায়ী তার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অন্যদিকে সজীবের স্বজনদের দাবি— সকালে কারাগারের সেলে বন্দিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বেধড়ক পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। সজীবের শরীরের নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন দেখা গেছে বলেও দাবি করেন স্বজনরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, মারামারির বিষয়টি জানতে যমুনা ভবনের সাত নম্বর সেলে আমি নিজে গিয়ে তদন্ত করি। সেখানে সকালে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি, তার প্রমাণও পাইনি। অসুস্থ সজীব নিজে হেঁটে কারা হাসপাতালে যায়। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর গাড়ি থেকে নেমেই তিনি হেঁটে হাসপাতালে ঢুকেন।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top