চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু না হওয়ায় যানজট বাড়ছে

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ‘মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ উদ্বোধনের প্রায় দুই মাস পরও চালু হয়নি। উদ্বোধনের পরও প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ জানায়, এপ্রিল মাসের দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য একপাশ উন্মুক্ত করার কথা ভাবছেন তারা। তখন লালখান বাজার হয়ে পতেঙ্গায় গিয়ে নামবে গাড়ি। র‍্যাম্প নির্মাণ না হওয়ায় মাঝখানে ওঠানামার সুযোগ থাকবে না। র‍্যাম্পসহ প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করতে অন্তত এই বছর চলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে চার হাজার গাড়ি পার হচ্ছে এ টানেল দিয়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু না হওয়ায় নগরীতে বেড়েছে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। নগরজুড়ে বেড়েছে ব্যাপক যানজট।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের কাজ এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করছি এপ্রিল মাসে এটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো। এখনও র‍্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। এপ্রিলে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত গাড়ি চলবে। মাঝখানে ওঠানামার কোনও সুযোগ থাকবে না।’

তিনি আরও জানান, চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুনে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এ কারণে নগরীতে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এখনও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এ সড়কে শিগগিরই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বাকি কাজ চলমান থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪টি র‍্যাম্প থাকার কথা থাকলেও এখন হবে ১৪টি। এখনও র‍্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এখন কোনও প্রকার টোল আদায় করা হবে না। পুরোপুরি নির্মাণের পর টোল আদায় করা হবে।’

চাটগাঁ নিউজ/এমআর

Scroll to Top