চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কারণে ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের হাজার হাজার প্রিপেইড গ্রাহককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ব্যালেন্স শেষ হয়ে অনেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। সংযোগ বিচ্ছিন্নের শঙ্কায় পড়েন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে নগরীর পিডিবির বিতরণ কার্যালয়গুলোতে রিচার্জ সেবা কার্যক্রম শুরু করে। বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিচার্জ করে গ্রাহকেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় শনিবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার বিতরণ কার্যালয়গুলোতে রিচার্জ সেবার আওতা বাড়ানো হয়। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকাকালীন ৫ দিনে চট্টগ্রামের সাবস্টেশনগুলোতে ২ লাখ ১০ হাজার গ্রাহকের মিটার রিচার্জ করে দেয়া হয়। এতে আদায় করা হয় ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক চৌধুরী জানান, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিতরণ কার্যালয়গুলো থেকে ২ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক রিচার্জ করেছেন। মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে আমাদের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা এই কঠিন সময়েও রাত দিন কাজ করেছেন। যারাই রিচার্জ করতে এসেছেন প্রত্যেককে সেবা দেয়া হয়েছে। কাউকে ফিরে যেতে হয়নি।
পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রিপেইড মিটারে আগেই রিচার্জ করা জমা টাকা শেষ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রাহকের। ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জে সমস্যা হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ নীতিগতভাবে সম্মতি দিলেও ইন্টারনেট না থাকায় সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন না করার বিষয়টি সংশোধন করতে যায়নি।
তাই বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় থেকে রিচার্জের ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের এ রিচার্জ সুবিধা চালু রাখার নির্দেশনা দেয় তারা। এর ফলে যতক্ষণ গ্রাহক থাকছেন, ততক্ষণ সেবা দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়। তবে প্রথম পাঁচ দিনের (শনি, রবি, সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার) চেয়ে বৃহস্পতিবার গ্রাহকের ভিড় ছিল তুলনামূলক কম।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ